অণুজীবের জগৎ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর, পরিবেশ ও বিজ্ঞান *শ্রেণি-অষ্টম।

অণুজীবের জগৎ
অধ্যায়-সপ্তম * বিষয়-পরিবেশ ও বিজ্ঞান * শ্রেণি-অষ্টম। 





১)  অণুজীব বা মাইক্রোবস কাকে বলে?

উঃ পরিবেশে অবস্থানরত খালি চোখে দেখা যায় না এমন জীবদের আণুবীক্ষণিক জীবদের অণুজীব বা মাইক্রোবস বলে।
যেমন- ব্যাকটেরিয়া।
অনুজীবের চিত্র



২) অণুজীবরা প্রধানত কয় প্রকার ও কী কী?

উঃ অণুজীবরা প্রধানত চার প্রকারের। যথা-
ক) ব্যাকটেরিয়া (মোনেরা)- এশ্চেরিচিয়া কোলাই, ল্যাকটোব্যাসিলাস।

খ) আদ্যপ্রাণী (প্রোটিস্টা)- অ্যামিবা, প্যারামেসিয়াম।

গ) ছত্রাক (ফাংগি)- মিউকর, পেনিসিলিয়াম ও অ্যাগারিকাস।

ঘ) শৈবাল (প্লান্টি)- ক্ল্যামাইডোমোনাস, ভলভক্স স্পাইরোগাইরা।



৩) ব্যাকটেরিয়াদের ভালোভাবে দেখতে হলে কী করতে হয়?

উঃ গ্রাম রঞ্জক দ্বারা রঞ্জিত করতে হয়।



৪) এমন একটি অণুজীবের নাম লেখো যে কম অক্সিজেন ঘনত্ব বেঁচে থাকতে পারে।

উঃ ঈস্ট



৫) হাইফি কী?

উঃ বহুকোশী ছত্রাকের দেহ যে অসংখ্য সরু সুতোর মতো অংশ দিয়ে তৈরি হয়, তার নাম হলো হাইফি।



৬) ভাইরাস কথার অর্থ কী?

উঃ ল্যাটিন শব্দ ভাইরাস কথার অর্থ হল বিষ



৭) কোন বিজ্ঞানী প্রথম বসন্ত রোগের কথা বলেন?

উঃ বিজ্ঞানী এডওয়ার্ড জেনার।


৮) আদ্যপ্রাণীরা কোন কোন অঙ্গের সাহায্যে গমন করে?

উঃ ফ্ল্যাজেলা, সিলিয়া ও ক্ষণপদ এর সাহায্যে আদ্যপ্রাণীরা গমন করে।



৯) স্টেইন এবং স্টেইনিং কী?

উঃ স্টেইনঃ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে অনুজীবদের পর্যবেক্ষণ করার সময় অনেকক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ রং এর সাহায্যে রাঙিয়ে নিতে হয় এই রং গুলিকে বলা হয় স্টেইন।

স্টেইনিংঃ অনুজীবদের দেখার পূর্বে নির্দিষ্ট স্টেইনের সাহায্যে রাঙিয়ে নেওয়ার পদ্ধতি কে বলা হয় স্টেইনিং।



১০) ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়া দ্বারা সংক্রমিত রোগের নাম লেখো।

উঃ ভাইরাস দ্বারাঃ ডেঙ্গুজ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা, বসন্ত, হেপাটাইটিস মামস, হাম, পোলিও, জলাতঙ্ক, AIDS ইত্যাদি।

ব্যাকটেরিয়া দ্বারাঃ যক্ষ্মা, কলেরা, টাইফয়েড, ডায়রিয়া, হুপিংকাশি, টিটেনাস, নিউমোনিয়া, ডিফথেরিয়া ইত্যাদি।

আদ্যপ্রাণী দ্বারাঃ আমাশয়, কালাজ্বর, ম্যালেরিয়া ঘুম রোগ ইত্যাদি।



১১) ছত্রাক ঘটিত কয়েকটি রোগের নাম লেখো।

উঃ দাদ, হাজা, ছুলি, এলার্জি, নাক মুখ কান গলা বা ফুসফুসের রোগ প্রভৃতি।



১২) দাতা থেকে গ্রহীতার দেহে রক্ত সঞ্চালন করার ফলে সংক্রমিত হতে পারে এমন কয়েকটি রোগের নাম লেখো।

উঃ হেপাটাইটিস, AIDS.



১৩) কোন বিজ্ঞানী প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেন?

উঃ আলেকজান্ডার ফ্লেমিং।


১৪) ভিরিয়ন কী?

উঃ সংক্রমণ যোগ্য ক্ষুদ্রতম ভাইরাস কণা হলো ভিরিয়ন।



১৫) দুধে যে শর্করা থাকে তার নাম কী?

উঃ ল্যাকটোজ



১৬) কোন ব্যাকটেরিয়া ল্যাকটিক এসিড তৈরি করে?

উঃ ল্যাকটোব্যাসিলাস



১৭) রাইজোবিয়াম কী?

উঃ শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদ অর্থাৎ মটর, সিম, ডাল জাতীয় উদ্ভিদের মূলের অর্বুদে বসবাসকারী এক ধরনের মিথোজীবী ব্যাকটেরিয়া যারা বাতাসের নাইট্রোজেনকে ব্যবহার করে নাইট্রোজেন ঘটিত জৈব পদার্থে পরিণত করে তাদের রাইজোবিয়াম বলে। এই ব্যাকটেরিয়া শিম্বগোত্রীয় উদ্ভিদের থেকে আশ্রয় ও পুষ্টি গ্রহণ করে এবং বিনিময়ে তাদের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।



১৮) লাইকেন কী?

উঃ শৈবাল ও ছত্রাকের মিথোজীবীয় সহবস্থান হলো লাইকেন।



১৯) অ্যামোনিফিকেশন কাকে বলে?

উঃ উদ্ভিদ বা প্রাণীরা যখন মারা যায় তখন তাদের দেহের বিভিন্ন নাইট্রোজেনযুক্ত যৌগ ভেঙে গিয়ে অ্যামোনিয়া তৈরি হয়। এই পদ্ধতিকে অ্যামোনিফিকেশন বলে।
এরূপ কিছু ব্যাকটেরিয়ার নাম হল- মাইক্রোকক্কাস, ব্যাসিলাস মাইকয়ডিস।



২০) অনুজীবের সাহায্যে কিভাবে দই তৈরি করা হয়?

উঃ 37° C উষ্ণতায় গরম দুধের সঙ্গে দই মেশান হলে দুয়ের মধ্যে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি হতে থাকে এই ব্যাকটেরিয়া দুধের ল্যাকটোজকে ল্যাকটিক এসিডে পরিণত করে দই তৈরি করে।



২১) খাদ্য সংরক্ষণের কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি উল্লেখ করো।

উঃ খাদ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো হলো-
ক) কোনো কোনো সবজি ও ফলকে কেটে দীর্ঘক্ষন রোদে শুকিয়ে নেওয়া।
খ) খাদ্যবস্তুকে কম তাপমাত্রায় রেফ্রিজারেটরে রাখা।
গ) মাছ মাংসে বেশি করে নুন মাখিয়ে রাখা।
ঘ) খাদ্যবস্তুর সাথে ভিনিগার বা চিনি যোগ করা।



২২) অনাক্রম্যতা কী?

উঃ যখন কোন জীবাণু জীবদেহে প্রবেশ করে তখন জীবাণুর দেহ থেকে বেরোনো নানা ক্ষতিকারক যৌগ অর্থাৎ অ্যান্টিজেন জীবদেহে প্রবেশ করে। এই অ্যান্টিজেনের ধ্বংস করার জন্য জীবদেহে অ্যান্টিবডি নামক এক ধরনের প্রোটিন ধর্মী যৌগ তৈরি হয়। যেগুলি অ্যান্টিজেনকে আক্রমণ করে এবং ধ্বংস করে। কোন জীবদেহের রোগ প্রতিরোধ স্বাভাবিক ক্ষমতাকে অনাক্রম্যতা বলে।



২৪) চিজ পাকাতে কোন অনুজীব ব্যবহার করা হয়?

উঃ বিশেষ কিছু ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া।



২৫) সল্টিং কী?

উঃ মাছ মাংস তে লবণ মিশিয়ে শুকিয়ে রাখলে তাতে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে না। কারণ প্লাজমোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া দেহ থেকে জল বেরিয়ে যায়। ফলে ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যু হয়।এই প্রক্রিয়াকে সল্টিং বলে।



২৬) মহাকাশযানের বাতাস পরিষ্কার করতে কী ব্যবহার করা হয়?

উঃ ক্লোরেল্লা শৈবাল।



২৭) বর্জ্য পরিষ্কারে ব্যাকটেরিয়া কীভাবে সাহায্য করে?

উঃ মল মূত্রের মত অশোধিত বর্জ্য পদার্থ ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে ভেঙে নানাপ্রকার ব্যবহারযোগ্য যৌগে পরিণত হয়। এর ফলে পরিবেশ দূষণ রোধ হয় এবং মাটির উর্বরতা বাড়ে।
মেথানোজেনিক ব্যাকটেরিয়া মানুষ ও অন্য জীবজন্তু মল, তরকারির খোসা প্রভৃতি ভেঙে মিথেন গ্যাস তৈরি করে। এই গ্যাস বিকল্প জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।



২৮) টিকাকরণ কী?

উঃ যে পদ্ধতিতে দেহে জীবাণু বা জীবাণু সৃষ্ট পদার্থ কৃত্রিমভাবে প্রবেশ করিয়ে এন্টিবডি সৃষ্টির মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করা হয় তাকে টিকাকরণ বলে।



২৯) ভেক্টর কাকে বলে?

উঃ যে সমস্ত বাহক রোগাক্রান্ত দেহ থেকে সুস্থ দেহে রোগ জীবাণু সংক্রমণ করে এবং সেই সঙ্গে ওই রোগ জীবাণুর জীবনচক্র একটি দশা বাহকের সম্পূর্ণ হয় কাকে বলে।



৩০) ভাইরাসের প্রোটিন নির্মিত খোলককে কী বলে?

উঃ ক্যাপসিড


৩১) ছত্রাকেরা কোশে কোন জাতীয় খাদ্য সঞ্চিত রাখে?

উঃ গ্লাইকোজেন জাতীয় শর্করা।



৩২) ছত্রাকের কোশপ্রাচীর কোন বিশেষ বস্তু দিয়ে গঠিত হয়?

উঃ কাইটিন।



৩৩) ভাইরাস কোথায় বংশবিস্তার করতে পারে?

উঃ নির্দিষ্ট সজীব পোষক কোশে


Posted by- Abhisek Dutta
                    Assistant Teacher

© ABHISEK DUTTA

Picture Collected from- Google

Thank You for Visiting my Blog.


Comments

  1. I want class viii science chapter 9 and 8 question answer

    ReplyDelete
  2. I say for you some add more question for better study and add pdf

    ReplyDelete
  3. থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোনার আরেক নাম কী

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

মানুষের খাদ্য ও খাদ্য উৎপাদন অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর। বিষয়- পরিবেশ ও বিজ্ঞান * শ্রেণি অষ্টম।

অষ্টম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞানঃ জীবদেহের গঠন- ষষ্ঠ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর।