অষ্টম শ্রেণি পরিবেশ ও বিজ্ঞানঃ জীবদেহের গঠন- ষষ্ঠ অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর।
বিষয়-পরিবেশ ও বিজ্ঞান। শ্রেণী-অষ্টম
ষষ্ঠ অধ্যায়: জীবদেহের গঠন।
একটি বা দুটি বাক্যের প্রশ্ন উত্তর।
১) কোন বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম কোশ পর্যবেক্ষণ করেন?
উঃ বিজ্ঞানী রবার্ট হুক সর্বপ্রথম মৃত কোষ পর্যবেক্ষণ করেন এবং বিজ্ঞানী লিভেনহিক সর্বপ্রথম সজীব কোষ পর্যবেক্ষণ করেন।
## রবার্ট হুক সর্বপ্রথম কোশ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন।
২) খালি চোখে দেখা যায় এমন একটি প্রাণী কোশের নাম লেখো?
উঃ উটপাখির অনিষিক্ত ডিম।
৩) ক্লোরোফিল যুক্ত একটি এককোশী জীবের নাম লেখো?
উঃ ক্ল্যামাইডোমোনাস।
৪) প্রাণী দেহের চামড়ার নিচে আংটির মতো দেখতে কোন কোশ থাকে?
উঃ চর্বি কোশ।
৫) রেটিনায় অবস্থিত কোন প্রকার কোশ উজ্জ্বল আলো ও বর্ণ শোষণে সক্ষম?
উঃ শঙ্কু আকৃতির কোন কোশ।
৬) রেটিনায় অবস্থিত কোন প্রকার কোশ মৃদু আলো শোষণের সক্ষম?
উঃ দন্ডাকার রডকোশ।
৭) কোন শৈবালের দেহ আয়তাকার কোশ দ্বারা গঠিত?
উঃ স্পাইরোগাইরা।
৮) জীবাণু কে মেরে ফেলার জন্য মানুষের রক্তে কোন কোশ থাকে?
উঃ শ্বেত রক্তকণিকা।
##কাজ অনুযায়ী শ্বেত রক্ত কণিকার আকৃতি বদলে যায়।
৯) পেশিকোশের আবরণকে কি বলা হয়?
উঃ সারকোলেমা।
১০) কোশের কার কোন এককে মাপা হয়?
উঃ মাইক্রোমিটার বা মাইক্রন।
১১) মানবদেহের দীর্ঘতম কোশটির নাম কি?
উঃ স্নায়ুকোশ।
১২) গমন কাকে বলে?
উঃ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া বা স্থান পরিবর্তন করাকে গমন বলে।
১৩) এমন একটি উদ্ভিদের নাম কর যে পরিবেশের উদ্দীপনায় সাড়া দেয়?
উঃ লজ্জাবতী
১৪) জনন কাকে বলে?
উঃ শরীরবৃত্তীয় ক্রিয়ার মাধ্যমে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষার কাজটি জনন নামে পরিচিত।
১৫) কলা কাকে বলে?
উঃ একই রকম কাজ করতে পারে এমন কোশের সমষ্টিকে কলা বলে।
১৬) ভাইরাস কে দেখার জন্য কোন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়?
উঃ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র।
১৭) পরিবর্তনশীল পরিবেশের কোন জীবের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি হয়?
উঃ বহুকোশী জীব।
১৮) উদ্ভিদের বীজের আবরণ উপস্থিত কোন কোশে প্রোটোপ্লাজম থাকে না?
উঃ প্রস্তরকোশে।
১৯) অ্যামিবার গমন অঙ্গের নাম কি?
অ্যামিবার চিত্র
২০) শ্বাসবায়ুর আদান-প্রদান ও শক্তি উৎপাদন পদ্ধতিকে কি বলা হয়?
উঃ শ্বসন।
২১) উদ্ভিদের কোন কলা বিভাজনে অক্ষম?
উঃ স্থায়ীকলা।
২২) প্রাণী দেহের কোন কলা ভার বহন করে থাকে?
উঃ যোগকলা।
২৩) প্রাণীদের গমন এ সাহায্য করে কোন কলা?
উঃ পেশীকলা।
২৪) প্লাজমাপর্দায় সবথেকে বেশি কি থাকে?
উঃ ফ্যাট।
২৫) কোশের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র কি?
উঃ নিউক্লিয়াস।
২৬) অক্সিজোম কোথায় থাকে?
উঃ মাইট্রোকন্ডিয়া।
২৭) প্রাণী কোশের প্রোটোপ্লাজম কি কি নিয়ে গঠিত?
উঃ নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম।
২৮) নিউক্লিওলাস কি?
উঃ আদর্শ নিউক্লিয়াসের মাঝখানে সর্বপেক্ষা ঘন উজ্জ্বল ভাবে রঞ্জিত গোলাকার গঠনকেই নিউক্লিওলাস বলে।
২৯) নিউক্লিওলাস কি দিয়ে গঠিত?
উঃ মূলত RNA এবং প্রোটিন দ্বারা গঠিত।
৩০) কোশের ভিতরে অবস্থিত জেলির মত অর্ধতরল পদার্থ কে কি বলে?
উঃ সাইটোপ্লাজম।
৩১) ক্রোমোজোমে কয় প্রকার নিউক্লিক অ্যাসিড থাকে ও কি কি?
উঃ দুই প্রকার। DNA & RNA.
৩২) মানুষের দেহকোশে ক্রোমোজোম সংখ্যা কত?
উঃ 46।
৩৩) জিন কাকে বলে?
উঃ DNA অনুর যে বিশেষ অংশ জীবের বৈশিষ্ট্য প্রকাশকারী প্রোটিন তৈরির সংকেত বহন করে, তাকে জিন বলে।
৩৪) নিউক্লিয়াসের কোন অংশ থেকে রাইবোজোম তৈরি হয়?
উঃ নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকা ঘন গোলাকার নিউক্লিওলাস অংশ থেকে রাইবোজোম তৈরি হয়।
৩৫) মাইটোকন্ডিয়া কাজ কি?
উঃ খাদ্যের পরিশোষক কে ভেঙে শক্তিতে শক্তি উৎপাদন করা।
৩৬) কোন কোশীয় অঙ্গানু থেকে লাইসোজোম উৎপন্ন হয়?
উঃ গলজি বস্তু।
৩৭) লাইসোজোমের সক্রিয়তা বৃদ্ধি পেলে কোন রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়?
উঃ ক্যান্সার।
৩৮) কোন অঙ্গানুকে প্রোটিন তৈরির কারখানা বলা হয়?
উঃ রাইবোজোম।
৩৯) প্রাণী কোষের কোন অঙ্গানু কোশ বিভাজনে সাহায্য করে?
উঃ সেন্ট্রোজোম।
৪০) কোন কোষীয় অঙ্গানু কেবল উদ্ভিদ কোশে থাকে?
উঃ প্লাসটিড।
৪১) ইউক্যারিওটিক উদ্ভিদ কোশের কোন কোশ অঙ্গাণুতে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াটি ঘটে?
উঃ ক্লোরোপ্লাসটিড।
৪২) কোন কোশীয় অঙ্গানু ফুল ফলের রং নির্ধারনে অংশগ্রহণ করে?
উঃ ক্রোমোপ্লাসটিড।
৪৩) ক্যাকটাসের কাণ্ডের কোশে জলসঞ্চয়ী উপাদানটি কি?
উঃ মিউসিলেজ।
৪৪) উদ্ভিদের বর্ণহীন প্লাসটিড এর নাম কি?
উঃ লিউকোপ্লাসটিড।
৪৫) ব্যাকটেরিয়ার কোষে মাইট্রোকন্ডিয়া বিকল্প রূপে কি শোষণে সাহায্য করে?
উঃ মেসোজোম।
৪৬) প্রোটোপ্লাজম কী?
উঃ কোশপর্দা বেষ্টিত বর্ণহীন, অর্ধতরল জেলির মত থকথকে আঠালো সজীব অংশকে প্রোটোপ্লাজম বলে।
৪৭) প্রোক্যারিওটিক কোশ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যেসব কোশের নিউক্লিয়াস সংগঠিত নয় এবং কোশের সাইটোপ্লাজম এ পর্দাবৃত কোষীয় অঙ্গানু থাকে না তাকে প্রোক্যারিওটিক কোশ বা আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত কোশ বলে।
উদাহরণ- ব্যাকটেরিয়া, নীলাভ সবুজ শৈবাল।
৪৮) ইউক্যারিওটিক কোশ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উঃ যেসব কোশের নিউক্লিয়াস সংগঠিত এবং কোশের সাইটোপ্লাজমে পর্দাবৃত কোষীয় অঙ্গানু থাকে, তাকে ইউক্যারিওটিক কোষ ও প্রকৃত নিউক্লিয়াসযুক্ত কোশ বা আদর্শ কোশ বলে।
উদাহরণ- উন্নত শ্রেণীর উদ্ভিদ কোশ এবং প্রাণী কোশ।
৪৯) মাইটোকনড্রিয়া কে কোশের শক্তিঘর বলা হয় কেন?
উঃ মাইটোকনড্রিয়াকে কোশের শক্তিঘর বলা হয়। কারণ
ক) মাইট্রোকন্ডিয়া কোশের শ্বসনে অংশগ্রহণ করে। শ্বসনের সময় মাইটোকনড্রিয়ার মধ্যেই খাদ্যবস্তুর জারণ ও খাদ্যে আবদ্ধ রাসায়নিক শক্তির মুক্তি ঘটে।
খ) মাইট্রোকন্ডিয়া কোশের যাবতীয় বিপাক ক্রিয়া পরিচালনার জন্য শক্তি সরবরাহ করে।
৫০) লাইসোজোমকে আত্মঘাতী থলি বলে কেন?
উঃ কোন সজীব কোশ কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কোশটির কার্যক্ষমতা নষ্ট হলে বা কোশটি পুরনো হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট কোশটির লাইসোজোম ভেঙে যায় এবং এর মধ্যে উৎসেচক গুলি বেরিয়ে এসে সমগ্র কোশটিকে ধ্বংস করে। এই কারণে লাইসোজোমকে 'আত্মঘাতী থলি' বলা হয়।
৫১) কোন প্রাণী কোশকে আংটির মত দেখায়?
উঃ অ্যাডিপোজ কলায় থাকা মেদকোশ।
৫২) ব্যাকটেরিয়ার কোষে শ্বসনের সাহায্যকারী অংশটির নাম কী?
উঃ মেসোজোম।
৫৩) উদ্ভিদকোশে কোশগহ্বরের কাজ কী?
উঃ খাদ্যগহ্বর, জলগহ্বর, রেচনগহ্বর, সংকোচী গহ্বর প্রভৃতি।
৫৪) উদ্ভিদের 'খাদ্য তৈরীর কারখানা' কোন কোশ অঙ্গাণু কে বলা হয়?
উঃ ক্লোরোপ্লাস্টিড।
৫৫) ক্রোমোপ্লাস্ট কোথায় থাকে?
উঃ রঙিন ফুলের পাপড়ি ও পাকা ফলের ত্বকে।
৫৬) কোশরস কী?
উঃ উদ্ভিদ কোষের কোষগহ্বর মধ্যস্থ তরলকে কোশরস বলে।
৫৭) ক্যাকটাসের কোশের কোন উপাদানটি জল সঞ্চয় করে রাখতে পারে?
উঃ মিউসিলেজ।
৫৮) কিউটিকল কী?
উঃ ক্যাকটাস জাতীয় উদ্ভিদ মোমজাতীয় পদার্থের পুরু আস্তরণ কে কিউটিকল বলে।
৫৯) বর্ণহীন প্লাস্টিড কী বলে?
উঃ লিউকোপ্লাস্টিড।
৬০) প্রাণীদেহে কত রকম কলা আছে?
উঃ চার রকম কলা আছে। যথা- ক)আবরণী কলা
খ) যোগকলা
গ) পেশীকলা এবং
ঘ) স্নায়ুকলা।
Posted by- Abhisek Dutta
Assistant Teacher
© ABHISEK DUTTA
Picture Collected from- Google
Thank You
Comments
Post a Comment