অষ্টম শ্রেণির পরিবেশ ও বিজ্ঞান বিষয় তাপের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
বিষয়-পরিবেশ ও বিজ্ঞান * শ্রেণি-অষ্টম
অধ্যায়:ভৌত পরিবেশ-তাপ
১) কঠিনীভবন কী?
উঃ কোন তরল যখন তাপ বর্জন করে কঠিন পরিণত হয়, সেই ঘটনাকে কঠিনীভবন বলে।
২) অবস্থার পরিবর্তন কাকে বলে?
উঃ তাপ প্রয়োগের বা নিষ্কাশন এর ফলে পদার্থের এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়াকে অবস্থার পরিবর্তন বলে।
৩) নির্দিষ্ট হিমাঙ্ক ও গলনাঙ্ক নেই এমন কয়েকটি কঠিন পদার্থের নাম লেখো?
উঃ কাচ, মাখন, চর্বি, মাখন, পিচ প্রভৃতি।
৪) পদার্থের গলনাঙ্ক ও হিমাঙ্ক কাকে বলে?
উঃ গলনাঙ্ক: কোন নির্দিষ্ট চাপে যে উষ্ণতায় কোন কঠিন পদার্থ গলে তরলে পরিণত হয়, সেই উষ্ণতাকে ওই চাপে ওই পদার্থের গলনাঙ্ক বলে।
হিমাঙ্ক: কোন নির্দিষ্ট চাপে যে উষ্ণতায় কোন তরল পদার্থ জমে কঠিনে পরিণত হয়, সেই উষ্ণতাকে ওই চাপে ওই পদার্থের হিমাঙ্ক বলে।
৪) তাপের সংজ্ঞা দাও?
উঃ তাপ এক প্রকার শক্তি যা কোন বস্তু গ্রহণ করলে উত্তপ্ত হয় এবং বর্জন করলে শীতল হয়।
তাপ পরিমাপের একক হল ক্যালোরি।
৫) আপেক্ষিক তাপের সংজ্ঞা দাও?
উঃ কোন পদার্থের একক ভরের উষ্ণতা 1° বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় তাপকে ওই পদার্থের আপেক্ষিক তাপ বলে।
৬) কোন তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলতে কী বোঝো?
উঃ প্রমাণ বায়ুমন্ডলীয় চাপে যে তাপমাত্রায় কোন তরলের স্ফুটন শুরু হয় ও সমগ্র তরলটি বাস্পে পরিণত না হওয়া পর্যন্ত ঐ তাপমাত্রা স্থির থাকে, সেই তাপমাত্রাকে ওই তরলের স্ফুটনাঙ্ক বলে।
৭) ফিউজ তারের প্রধান বৈশিষ্ট্য কি?
উঃ উচ্চ রোধ ও কম গলনাংক বিশিষ্ট।
৮) বাষ্পায়ন কাকে বলে?
উঃ যেকোনো উষ্ণতায় কোন তরল পদার্থের উপরিতল থেকে তরলের ধীরে ধীরে বাষ্পে পরিণত হওয়াকে বলে বাষ্পায়ন।
৯) বিশুদ্ধ জলের স্ফুটনাঙ্ক কত?
উঃ 100° সেন্টিগ্রেট বা 212° ফারেনহাইট।
১০) মেঘ কিভাবে সৃষ্টি হয়?
উঃ ভূপৃষ্ঠের জল সূর্যের তাপে বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুতে মেশে। উষ্ণ, আর্দ্র বায়ু হালকা বলে উপরে উঠে যায়। উপরে বায়ুর উষ্ণতা কমে শিশিরাঙ্ক এর নিচে নেমে গেলে জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে জলকণায় পরিণত হয়। এই জলকণা বায়ুতে ভাসমান ধূলিকণাকে আশ্রয় করে আকাশে ভেসে বেড়ায়। ধূলিকণা কে আশ্রয় করে তৈরি অসংখ্য ভাসমান জলবিন্দু একসঙ্গে থেকে মেঘের সৃষ্টি করে।
১১) কুয়াশা কি?
উঃ শীতকালের ভোরবেলায় বায়ুমন্ডলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল হঠাৎ খুব ঠান্ডা হয়ে গেলে ওই অঞ্চলের বায়ু তারমধ্যে থাকা জলীয় বাষ্প দ্বারা সম্পৃক্ত হয়ে যায়। এরপরেও যদি উষ্ণতা কমে তখন জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলকণায় পরিণত হয়ে বাতাসে ভাসমান ধূলিকণা, কার্বন কনা ইত্যাদি আশ্রয় করে ভাসতে থাকে। একেই কুয়াশা বলে।
১২) তাপ সঞ্চালন কাকে বলে? কি কি পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালিত হয়?
উঃ বিশ্ব উষ্ণ অঞ্চল থেকে অপেক্ষাকৃত কম উষ্ণ অঞ্চলে তাপ প্রবাহিত হওয়ার ঘটনাকে তাপ সঞ্চালন বলে।
তাপ তিনটি পদ্ধতিতে সঞ্চালিত হতে পারে। যথা-পরিবহন, পরিচলন ও বিকিরণ।
১৩) উদাহরণসহ তাপের সুপরিবাহী ও কুপরিবাহী পদার্থের সংজ্ঞা দাও।
উঃ তাপের সুপরিবাহী পদার্থ: যে সমস্ত পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ সহজেই এক অংশ থেকে অন্য অংশে প্রবাহিত হতে পারে, তাদের তাপের সুপরিবাহী বলে।
উদাহরণ-লোহা তামা পারদ আলুমিনিয়াম ইত্যাদি।
তাপের কুপরিবাহী পদার্থ: যে সমস্ত পদার্থের মধ্য দিয়ে তাপ সহজে প্রবাহিত হতে পারে না, তাদের তাপের সুপরিবাহী পদার্থ বলে। উদাহরণ-কাঠ, কাগজ, কাচ ইত্যাদি।
১৪) তাপের সুপরিবাহী একটি অধাতুর নাম লেখো।
উঃ গ্রাফাইট।
১৫) সূর্য থেকে পৃথিবীতে কোন পদ্ধতিতে তাপ আসে?
উঃ বিকিরণ পদ্ধতি।
১৬) থার্মোফ্লাক্স এর গঠন বর্ণনা করো।
উঃ থার্মোফ্লাক্স দুই দল বিশিষ্ট একটি কাঁচের পাত্র। এর ভিতরে দেওয়ালের বাইরে তলে ও বাইরের দেওয়ালের ভিতরের তলে রূপোর প্রলেপ থাকে। ফলে দেওয়াল দুটো চকচকে হয়। দেওয়াল দুটির মাঝখানে যতটা সম্ভব কম ভরের বায়ু রাখা হয়। ফ্লাক্সটির মুখকুপরিবাহী পদার্থের তৈরি হয়। যাতে সহজে না ভাঙ্গে সেজন্য পাত্রটিকে স্প্রিং এর উপর বসিয়ে একটি ধাতব বা প্লাস্টিকের পাত্রের মধ্যে রাখা হয়। এই পাত্র ও কাঁচের পাত্রের মাঝের অংশ ফেল্ট, তুলো ইত্যাদি তাপের কুপরিবাহী পদার্থ দিয়ে ভর্তি থাকে।
Posted by- Abhisek Dutta
Assistant Teacher
© ABHISEK DUTTA
Thank you 😊
ReplyDelete❤
Delete👍👍👍
ReplyDeleteThanks
DeleteThank you
ReplyDeleteThank you
ReplyDeleteতাপের ধর্মগুলি কী কী?
ReplyDeleteThank you 🥰
ReplyDeleteতাপের বৈশিষ্ট্য কি কি
ReplyDeleteThanks 🙂
ReplyDeleteThank you very much
ReplyDelete☺️☺️☺️☺️☺️☺️☺️😃😃😃😃😃😍😍☺️🙂☺️
ReplyDeleteঅপ
ReplyDeleteThank you so much sir 😇
ReplyDelete