Posts

Showing posts from September, 2020

নীল বিদ্রোহের কারণ, ফলাফল, গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো।

Image
© ABHISEK DUTTA Posted & Written by- Abhisek Dutta( Assistant Teacher) বিষয়ঃ ইতিহাস * শ্রেণিঃ দশম অধ্যায়ঃ তৃতীয়- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহঃ বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ। প্রশ্নঃ নীল বিদ্রোহের কারণ, ফলাফল, গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য গুলি আলোচনা করো। [Marks-08]   [নীল বিদ্রোহ (1859-60 খ্রিঃ)]  নীল চাষ ছিল ভারতের একটি প্রাচীনতম চাষ। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ভারতে ক্ষমতা বিস্তার করতে শুরু করলে ব্রিটিশ বণিকরা বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে নীল চাষ শুরু করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নীলকর সাহেবদের সীমাহীন লোভ, শোষণ ও নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে নীল চাষিরা বিষ্ণুচরন বিশ্বাস ও দিগম্বর বিশ্বাস এর নেতৃত্বে নীল বিদ্রোহ(1859-60 খ্রিঃ) ঘোষণা করে। নদীয়া জেলার চৌগাছা গ্রামে এই বিদ্রোহ শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুর, পাবনা, যশোহর রাজশাহী ময়মনসিংহ প্রভৃতি অঞ্চলে। নীল বিদ্রোহের বিভিন্ন স্থান * নীল বিদ্রোহের কারণঃ বাংলায় নীল বিদ্রোহের কারণগুলি হল- i) দাদন প্রথাঃ নীলকররা চাষীদের নীল চাষের জন্য অগ্রিম টাকা দিত। এই অগ্রিম টাকাকেই দাদন বলা হয়। চাষিরা অসুবিধায় পড়ে দাদন নিত। মাত্র দু

ভাদু উৎসব ও ভাদু গানের ইতিহাস।

Image
ভাদু উৎসব ও ভাদু গানের ইতিহাস। শিল্পাঞ্চল ও শহরের বিভিন্ন গ্যারেজ কলকারখানা ছাড়িয়েও গ্রামেও আজ জাঁকজমকভাবে পালিত হচ্ছে বিশ্বকর্মা পুজো। আকাশের ঘুড়ি মাইকে বিভিন্ন গান খাওয়া-দাওয়া দেখতেই আমরা অভ্যস্ত। কিন্তু রাঢ় বাংলায় বিশেষত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া বীরভূম বিভিন্ন গ্রামে ভাদ্র সংক্রান্তিতে পালিত হয় ভাদু উৎসব । বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে সামাজিক মাধ্যমে ভাদু উৎসব সেই অর্থে জায়গা করতেই পারেনি। এই ভাদু উৎসব ও ভাদু গানের ইতিহাস লোককথার আকর্ষণীয় গল্পে মোড়া।  লোককথা প্রেক্ষাপটঃ বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার পঞ্চকোট রাজ পরিবারের রাজা নীলমণি সিং দেও এর তৃতীয় কন্যা ভদ্রাবতীর বিবাহের দিন বিবাহ করতে আসা পাত্র  সহ বরযাত্রীগন ডাকাতদলের দ্বারা খুন হলে ভদ্রাবতী হবু স্বামীর চিতার আগুনে প্রাণ বিসর্জন দেন। এই কাহিনী 1985 খিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওয়েস্ট বেঙ্গল ডিসট্রিক গেজেটিয়ার পুরুলিয়া গ্রন্থে প্রকাশিত হয়। প্রিয় কন্যাকে স্মরণীয় রাখতে রাজা নীলমণি ভাদু গানের প্রচলন করেন। যদিও রাজার তিন পত্নী ও দশ পুত্রের উল্লেখ থাকলেও কোন কন্যা সন্তানের উল্লেখ নেই রাজ পরিবারের বংশ তালিকায়। রাখা